বৃহস্পতিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি ও প্রকৃতি
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চট্টগ্রাম
  15. চাকরীর খবর

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর প্রেমিককে আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রতিবেদক
বার্তা প্রবাহ
নভেম্বর ১৬, ২০২৩ ১০:২৫ অপরাহ্ণ

এ আর নাহিদ, দিনাজপুর : দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় তরুণীর প্রেমিককে (২৪) আটকে রেখে মারধর করে সংঘবদ্ধভাবে তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে চিরিরবন্দর উপজেলায় ব্যাপক ক্ষোভ এবং চাঞ্চল্যতার সৃষ্টি হয়েছে।

গত ১৪ ই নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলা শহরের তেলীপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোনে প্রায় রাত ২ঃ৩০ টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ছেলেটি (প্রেমিক) চিরিরবন্দর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন সেই তরুণী জানান, মাসুদ রানার (২৪) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।

গত মঙ্গলবার সকালে মাসুদ রানা পঞ্চগড় থেকে চিরিরবন্দরে তাদের বাসায় আসে। মা-বাবার কাছে বিয়ের কথা জানায়। কিন্তু মেয়ের পরিবার এ বিয়েতে সম্মতি না দেওয়ায় রাত সাড়ে নয়টায় মাসুদের হাত ধরে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রথমে চিরিরবন্দর রেলস্টেশনে আসে। পঞ্চগড় আসার কোন ট্রেন না পাওয়ায় হাঁটাপথে উপজেলার ঘুঘরাতলী এলাকায় বটগাছের নিচে বসে ইজিবাইকের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।

স্টেশন থেকে দুটি ছেলে তাদের অনুসরন করে পিছু নেয়। যেই দুইজন ছেলের মধ্যে একজন হলেন চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদকের ছেলের গাড়ির চালকের ছোট ভাই মোবিন (২৩)। পরে ইজিবাইক যোগে তরুণী ও তার প্রেমিকা দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে ঘুঘুরাতলী ত্যাগ করে তখন ঘুঘুরাতলী বাজারের ৫০০/৬০০ গজ রাস্তা সামনে অগ্রসর করার সময় মোবিন ও তার সহযোগী ইজিবাইকের গতিরোধ করে।
ঘটনাস্থলে তাদের সাথে যোগ হয় আরও তিনজন (মাস্ক পরিহিত)। সব কথা শুনে মোবিন তাদের বলেন, ‘তোমরা পালিয়ে যাচ্ছো কেন? তোমরা যদি বিয়ে করো আমরা তোমাদেরকে বিয়ে দেব। এখানে আমাদের সভাপতির ছেলে আছে, আমরা বিষয়টা ওনাকে জানাইছি। তোমরা চলো আমাদের সাথে।’

জবাবে ওই তরুণী বলেন তাদের বলেন, ‘ভাইয়া আমরাতো বিয়ে ম্যানেজ করেই ফেলছি, আমরা নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারি। আপনারাতো আইনের লোক না। আমাদেরকে কি হেল্প করবেন? একথা শুনে তাদেরকে মারধর শুরু করে, পরে একটা ভ্যানে জোরপূর্বক তুলে নেন এবং মুঠোফোন কেড়ে নেন।পরে তাদেরকে চিরিরবন্দর হাটখোলার মোড় হয়ে সরকার পাড়ার রাস্তায় নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে সংলগ্ন একটি নির্মানধীন ভবন এ নিয়ে যান। সেখানে উভয়কে মারধর শুরু করে মাসুদকে (তরুনীর প্রেমিকা) অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে তাকে দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয় ।

ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ধাক্কা দিলে সে ধানক্ষেতে পড়ে যায়। তার পা ভেঙ্গে যায়। এ সময় সকলে মিলে ওই অসুস্থ্য অবস্থায়ও ধানক্ষেতে পালাক্রমে ধর্ষন করে সেই তরুণীকে।

তরুনী আরও মোবিনকে দেখেছি। বাকিরা মাস্ক পড়া ছিল, নুর আলম ( চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদকের ছেলের) কথা বলে আমাকে নিয়ে গেছে।
ফোনে তারা কাকে যেন বলতেছিলো “ভাই আপনি আসেন, আমরা নিয়ে আসছি, কাজ হবে”
পরে পাশের একটি ধানক্ষেতে শুইয়ে রেখে তার ফোনটি দিয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে বাড়ি চলে যেতে বলেন। মাসুদ রানা জরুরী সেবায় ৯৯৯ এ ফোন দেন। পুলিশ রাত আড়াইটায় ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করেন।

পরদিন ১৫ ই নভেম্বর রোজ বুধবার রাত পৌনে দশটায় এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর বোন সালমা আক্তার বাদি হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৬।
অভিযুক্তরা হলেন
১-মোঃ মোবিন (২৩), পিতা-মোঃ আনছার আলী,সাং-চিরিরবন্দর রেলওয়ে কলোনী(মাছবাজার)
২-মোঃ আল-আমিন(২৬), পিতা- মোঃ আব্দুল গণি @দুলু,সাং-চিরিরবন্দর (মালিপাড়া)
৩-মোঃ সাব্বির হোসেন(২৭), পিতা-মোঃআসাদুল হক,সাং-চিরিরন্দর রেলওয়ে কলোনি।
৪-মোঃ রাব্বি (২৬), পিতা- হাবিবুর রহমান হবি,সাং-চিরিরবন্দর রেলওয়ে কলোনী।

পুলিশ ঘটনার সাথে যুক্তদের শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সেই তরুণীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের রেফার্ড করা হয়েছে।

সর্বশেষ - খুলনা

আপনার জন্য নির্বাচিত