অনলাইন ডেস্ক : বগুড়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। শুক্রবার সকালে জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত। নিম্ন আয়ের মানুষদের ভোগান্তি চরমে। গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে আবার কেউ রাস্তায় খড়কুটো, কাগজ জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছে না, যতক্ষণ না সূর্যের দেখা মেলে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের শুরুতে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মাঝে বেশ কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়লেও আবারো কমতে শুরু করেছে, এ অবস্থা আরো এক সপ্তাহ থাকতে পারে।
এদিকে ভোর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক মহাসড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। রিকশাচালক, দিনমজুরদের শীতে ভোগান্তি বাড়ে। খেটে খাওয়া এসব মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হলেও এত সকালে লোকজন না পেয়ে বসে থাকে শীতের তীব্রতা সাথী করে।
নৈশ প্রহরী আব্দুল আজীজ জানান, রাত ৯টা থেকে সকাল পর্যন্ত মার্কেট পাহারায় থাকেন তিনি। রাতে-দিনে ঠাণ্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম জানান, যত শীত হোক, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের খরচ মেটাতে ঘর থেকে বের হতেই হবে। রিকশা না চালালে কি খাব, তবে শীতের গরম কাপড় পেলে উপকৃত হবেন বলে জানান। ইজিবাইক চালক রুস্তম আলী জানান, সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, বড় বড় গাড়িগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়ক-মহাসড়কে চলাচল করছে।
শহরের সাতমাথা এলাকায় খড়কুটো, পরিত্যক্ত কাগজ জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে বেশ কয়েকজন মানুষ। তারা জানান, ভোর থেকেই ঠাণ্ডা বাতাস, তাই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা।
আবহাওয়া অফিস বগুড়ার উচ্চ পর্যবেক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, জেলায় আজ সকালে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন। এ অবস্থা আরো কয়েকদিন থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
