শনিবার , ২০ জানুয়ারি ২০২৪ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি ও প্রকৃতি
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. গণমাধ্যম
  14. চট্টগ্রাম
  15. চাকরীর খবর

বগুড়ায় চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে জেলা প্রশাসন

প্রতিবেদক
বার্তা প্রবাহ
জানুয়ারি ২০, ২০২৪ ৫:৪২ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক : বগুড়ায় চালের মূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। চালের মূল্য ক্রেতাদের সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সার্বক্ষনিক মনিটরিং ও অভিযান পরিচালনা করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৯টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা ও সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে চালের প্রচুর মজুদ থাকা সত্বেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

জানা যায়, বগুড়া শহরের ফহেত আলী, বাজার, রাজাবাজার, কলোনী ও গোদারপাড়া বাজারে পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে বাজারের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি চালের বাজার বৃদ্ধির জন্য চালকল মালিক ও আড়তদাররা দায়ী। মিলার ও আড়তদাররা বাজারে ধীরে ধীরে চাল ছাড়ছেন। চাহিদার চেয়ে জোগান কম হওয়ায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে, এতে বাড়ছে চালের দাম।

চালের মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই দাম বাড়ার পেছনে মিলারদের কারসাজিকে দায়ী করছেন পাইকারি বিক্রেতারা। আর মিল মালিকরা বলছেন, বাড়তি দামে ধান কেনায় চালের দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পছন্দের মোটা চাল কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। বাজারে কাটারি চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। যা আগে ছিল ৬৫ টাকা কেজি। আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা কেজি। এছাড়া উনপঞ্চাশ চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, উনত্রিশ চাল ৫৬ টাকা, রনজিৎ ৫২ টাকা, জিরা ৭০ টাকা ও আতপ চাল ১১০ থেকে ১৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বগুড়া রাজাবাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে চালের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। যে কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বাড়তি দামে ধান কেনার কথা বলে মিলাররা চালের দাম নতুন করে বাড়িয়েছেন। যার প্রভাব পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পড়েছে।

মিল মালিকরা বলছেন, বাজারে ধানের দাম বাড়ার কারণে চালের দামও বেড়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছে। যার ফলে খুচরা ও পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে।

চাল কিনতে আসা রিক্সা চালক সামছু মিয়া জানান, বাজরে চালের দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। সারাদিন পরিশ্রম করে যে টাকা রোজগার করি সেটি দিয়ে চাল কেনার পর অন্য বাজার করতে হিমশিত খেতে হচ্ছে। বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে পড়েছে।

এদিকে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে বগুড়া জেলা প্রশাসন। চালের বাজার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সার্বক্ষনিক মনিটরিং ও অভিযান পরিচালনা করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। বিভিন্ন অড়াৎদার ও চালের মিলে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে। অভিযানে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা ও সতর্ক করা হচ্ছে।

বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বগুড়ায় মোট ১৯টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। একই সাথে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান এবং সতর্ক করা হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই যেন চালের বাজার অস্থিতিশীল না হয় সে বিষয়গুলো তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়াও যারা ধান-চাল মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করছেন তাদের বিরুদ্ধে নজরদারীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সর্বশেষ - খুলনা